সূক আল-জুম্মা কুয়েতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমজমাট বিশাল এক বাজারের নাম। কুয়েতের সূয়েখ এলাকায় অবস্থিত এই বাজারটি। সাপ্তাহের ৪দিন সূক আল-জুম্মায় বেচাকেনা হয়ে থাকে। এই বাজারের সংখ্যাধিক বিক্রেতা প্রবাসী বাংলাদেশী। আজ শুক্রবার পহেলা এপ্রিল ২০১৬ ইং কুয়েতের সূক-আল জুম্মাতে এলে এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, এসময় সূক আল-জুম্মার প্রবাসী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার নানান দিক নিয়ে কথা বলেন অগ্রদৃষ্টির সঙ্গে।
কুয়েতের সূক আল-জুম্মাতে সাধারণত সল্প মূল্যে কেনাকাটা করার একটি নির্ভরযোগ্য বাজার, ফলে প্রায় সব শ্রেণী – পেশার মানুষেরা এখানে এসে থাকেন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য।
এদিকে এই প্রতিবেদক সূক আল-জুম্মাতে গিয়ে অগ্রদৃষ্টি অনলাইন মিডিয়া গ্রুপ থেকে এসেছি বললে,তখন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী একসঙ্গে জড়ো হয়েছিলেন, সেসময় কথা হয় বক্কর মিয়া, আলতাফ হুসেন, দুলাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম ও মোজাইদ আহমেদ এর সঙ্গে।
উল্লেখ্য যে, সূক আল-জুম্মাতে গিয়ে দেখা মিলে সবচেয়ে বেশি সুফা বিক্রেতাদের সঙ্গে, এসব বিক্রেতাদের প্রায় প্রত্যেকই বাংলাদেশী।
যদিও ঐসব বিক্রেতারা অন্যান্য নতুন- পুরাতন পণ্য বিক্রির সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন; তবে সুফা বিক্রেতাদের তুলানায় অনেকাংশে’ই কম।
এদিকে উপরোক্ত প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, এই বাজারে ব্যবসা করে তাদের বেশ ব্যবসায়িক উন্নতি হচ্ছে ঠিক’ই, তবে সম্প্রতি কুয়েত সরকার এই বাজারে দোকান ভাড়া বাড়ানো সহ অন্যান্য নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে; ফলে ইদানীং তাদের বহু সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
যদিও সূক আল জুম্মা সম্পর্কে আগে স্থানীয়দের ধারণা ছিল যে, এটি সাধারণত সল্প আয়ের মানুষদের বাজার। কিন্ত বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।
এখন কুয়েতের এই বাজারে সল্প আয়ের ক্রেতা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ধনীব্যক্তিদেরও পদচারণা পরিলক্ষিত করা গেছে।